বাংলা - সূরা আল-জুমুআ - পবিত্র কুরআন

পবিত্র কুরআন » বাংলা » সূরা আল-জুমুআ

Choose the reader


বাংলা

সূরা আল-জুমুআ - Verses Number 14
سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ( 1 ) আল-জুমুআ - Ayaa 1
নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাবান।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ ( 2 ) আল-জুমুআ - Ayaa 2
মুমিনগণ! তোমরা যা কর না, তা কেন বল?
كَبُرَ مَقْتًا عِندَ اللَّهِ أَن تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ ( 3 ) আল-জুমুআ - Ayaa 3
তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ ( 4 ) আল-জুমুআ - Ayaa 4
আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।
وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ لِمَ تُؤْذُونَنِي وَقَد تَّعْلَمُونَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ ۖ فَلَمَّا زَاغُوا أَزَاغَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ ۚ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ ( 5 ) আল-জুমুআ - Ayaa 5
স্মরণ কর, যখন মূসা (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়কে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা কেন আমাকে কষ্ট দাও, অথচ তোমরা জান যে, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রসূল। অতঃপর তারা যখন বক্রতা অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের অন্তরকে বক্র করে দিলেন। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না।
وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُم مُّصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِن بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ ۖ فَلَمَّا جَاءَهُم بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَٰذَا سِحْرٌ مُّبِينٌ ( 6 ) আল-জুমুআ - Ayaa 6
স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা (আঃ) বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু।
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَىٰ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَهُوَ يُدْعَىٰ إِلَى الْإِسْلَامِ ۚ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ ( 7 ) আল-জুমুআ - Ayaa 7
যে ব্যক্তি ইসলামের দিকে আহুত হয়েও আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে; তার চাইতে অধিক যালেম আর কে? আল্লাহ যালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।
يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ ( 8 ) আল-জুমুআ - Ayaa 8
তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ ( 9 ) আল-জুমুআ - Ayaa 9
তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সবধর্মের উপর প্রবল করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَىٰ تِجَارَةٍ تُنجِيكُم مِّنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ ( 10 ) আল-জুমুআ - Ayaa 10
মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?
تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنفُسِكُمْ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ( 11 ) আল-জুমুআ - Ayaa 11
তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।
يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ ( 12 ) আল-জুমুআ - Ayaa 12
তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।
وَأُخْرَىٰ تُحِبُّونَهَا ۖ نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ ( 13 ) আল-জুমুআ - Ayaa 13
এবং আরও একটি অনুগ্রহ দিবেন, যা তোমরা পছন্দ কর। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়। মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا أَنصَارَ اللَّهِ كَمَا قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ لِلْحَوَارِيِّينَ مَنْ أَنصَارِي إِلَى اللَّهِ ۖ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ اللَّهِ ۖ فَآمَنَت طَّائِفَةٌ مِّن بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَفَرَت طَّائِفَةٌ ۖ فَأَيَّدْنَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَىٰ عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ ( 14 ) আল-জুমুআ - Ayaa 14
মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমন ঈসা ইবনে-মরিয়ম তার শিষ্যবর্গকে বলেছিল, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে? শিষ্যবর্গ বলেছিলঃ আমরা আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। অতঃপর বনী-ইসরাঈলের একদল বিশ্বাস স্থাপন করল এবং একদল কাফের হয়ে গেল। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, আমি তাদেরকে তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় শক্তি যোগালাম, ফলে তারা বিজয়ী হল।

বই

  • সূফীবাদসূফীবাদ: এ গ্রন্থে সূফীবাদের হাকীকত, সূফীদের কতিপয় বাণী, ওলী কাকে বলে? কাসীদায়ে বুরদা কি? দালাইলুল খাইরাত গ্রন্থের পরিচয় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

    সংকলন : শাইখ মুহাম্মদ ইবন জামীল যাইনূ

    অনুবাদক : মুহাম্মাদ হারুন হুসাইন

    প্রকাশনায় : কমিউনিটি কেন্দ্রিক ইসলাম প্রচার ও শিক্ষামূলক সহযোগী অফিস, তায়েফ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/314356

    Download :সূফীবাদ

  • আল কুরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসির (৩য় পর্ব)আল কুরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসির, তৃতীয় অংশ: সরল ও সাবলীল বাংলায় অনুবাদসহ বিভিন্ন আয়াতে সন্বিবিষ্ট মৌলিক শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত এ তাফসিরে। অনুবাদের ক্ষেত্রে আল বায়ান ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত আল কুরআনের সরল অর্থানুবাদ- এর আশ্রয় নেয়া হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে সূরা বাকারার ৮৩ আয়াত থেকে ১৪১ আয়াত পর্যন্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    সম্পাদক : মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/310182

    Download :আল কুরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসির (৩য় পর্ব)আল কুরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসির (৩য় পর্ব)

  • ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের সাধারণ প্রশ্নের জবাবঅমুসলিমদের কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ড. জাকির নায়েক বক্ষ্যমাণ বইটিতে। ইসলাম, ইসলামি আদর্শ, ইসলামি ডিসকোর্সের আওতাধীন বিভিন্ন বিধি-বিধান বিষয়ে অমুসলিম ব্যক্তিরা সাধারণত যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করে থাকেন, বিস্তারিত ও খুবই যুক্তিগ্রাহ্য আকারে সেগুলোর জবাব দিয়েছেন প্রখ্যাত দায়ী ড. জাকির নায়েক। বইটি মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে পড়ে দেখা উচিত।

    সংকলন : জাকের নায়েক

    Source : http://www.islamhouse.com/p/219071

    Download :ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের সাধারণ প্রশ্নের জবাব

  • তাঁদের মধ্যে মধুময় সম্পর্ক [নবী-পরিবার ও অবশিষ্ট সাহাবীগণ পরস্পর সহানুভূতিশীল]তাঁদের মধ্যে মধুময় সম্পর্ক: নবী-পরিবার ও অবশিষ্ট সাহাবীগণ পরস্পর সহানুভূতিশীল : উম্মাতের মধ্যে যে মতপার্থক্যের উৎপত্তি হয়েছে তা জানা ও প্রতিকার করা শরী‘আতের অন্যতম মহান উদ্দেশ্য। এটি একটি বৃহৎ বিষয়; যা উম্মতকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে। এই গবেষণায়, সাহাবায়ে কেরাম ও আলে বাইত -রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম- এর মাঝে যে মধুময় সম্পর্ক ছিল, তার প্রমাণাদি তুলে ধরা হয়েছে। তাদের মধ্যে যত যুদ্ধ-বিবাদই সংঘটিত হোক না কেন, তারা ছিল পরস্পর সহানুভূতিশীল ও দয়ালু। যদিও কোনো কোনো গল্পকার/ইতিহাসবেত্তা তা না জানার ভান করে থাকে, তবুও এ-কথাটি বাস্তব সত্য; তা এ-সব মিথ্যা গাল-গল্প ও অসার চিন্তাধারার বিরুদ্ধে স্বচ্ছ ও শুভ্র প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে । এ-ধরনের ঐতিহাসিকদের মিথ্যা গাল-গল্প ও অসার ধ্যান-ধারনা-অনুমানকে কিছু প্রবৃত্তির অনুসারী, রাজনৈতিক সুবিধাবাদী ও ইসলামের শত্রুরা পুঁজি করেছে তাদের হীনস্বার্থ উদ্ধার এবং এই উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও মতবিরোধের শিকড় গ্রথিত করার জন্য।

    সংকলন : সালেহ ইবন আবদিল্লাহ আদ-দারওয়ীশ

    সম্পাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া - মো: আব্দুল কাদের

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/334268

    Download :তাঁদের মধ্যে মধুময় সম্পর্ক [নবী-পরিবার ও অবশিষ্ট সাহাবীগণ পরস্পর সহানুভূতিশীল]তাঁদের মধ্যে মধুময় সম্পর্ক [নবী-পরিবার ও অবশিষ্ট সাহাবীগণ পরস্পর সহানুভূতিশীল]

  • মহান আল্লাহর মা'রিফাতমহান আল্লাহর মা'রিফাত: একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে সঠিক ও স্বচ্ছ ধারণা রাখা ও সে অনুযায়ী নিজের বিশ্বাসের ভিত্তি নির্মাণ করা একজন মুসলমানের প্রধান ঈমানী দায়িত্ব। বর্তমান গ্রন্থে আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে মানুষকে যেসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে সে সবের আলোচনা স্থান পেয়েছে।

    সংকলন : মুহাম্মাদ হারুন হুসাইন

    প্রকাশনায় : কমিউনিটি কেন্দ্রিক দাওয়াহ ও শিক্ষা প্রচারমুলক সহযোগী অফিস, সুলা, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/314352

    Download :মহান আল্লাহর মা'রিফাত